মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
বিদেশে টাকা পাচার: আ.লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অন্য নেতার মামলা

বিদেশে টাকা পাচার: আ.লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অন্য নেতার মামলা

amarsurma.com
বিদেশে টাকা পাচার: আ.লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অন্য নেতার মামলা

আমার সুরমা ডটকম:

বিদেশে টাকা পাচার, কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি, দুবাইয়ে বাড়ি ইত্যাদি নিয়ে এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেই বিরোধ শুরু হয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির নেতাদের মধ্যে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে ‘কেহ কাকে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। দলটির নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন; বক্তৃতা বিবৃতি দিচ্ছেন এবং মামলা মোকদ্দমায় জড়াচ্ছেন।
বিদেশে টাকা পাচার করে আমেরিকায় বাড়ি করার বিষয়ে বক্তব্য দেয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা দাবি করে এ মামলা করেন। গতকাল শুক্রবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার আর্জিতে সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ জানিয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গিয়ে, বিভিন্ন মিডিয়ায় তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। এসব মিথ্যাচারের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে এক সপ্তাহ আগে তাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি নোটিশের বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। আওয়ামী লীগের এ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ভিডিওর মাধ্যমে আমাকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ও দুদকে মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন সুমন। এতে সামাজিকভাবে আমার মানহানি হয়েছে। সে কারণে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ব্যারিস্টার সুমন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বা অন্য কোনো দেশে একাধিক বাড়ি কেনার বিষয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। এ জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে ব্যারিষ্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সংসদ সদস্য গোলাপ শপথ নেওয়ার সাত মাস পর আমেরিকার নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। অথচ আমাদের সংবিধানে আছে, কারও যদি বিদেশি নাগরিকত্ব থাকে তাহলে কোনোভাবেই তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বলেছে, বিষয়টি দুদক দেখবে। আমি এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম দুদক এরকম একটি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বিষয়ে কোনো সরাসরি সুয়েমোটো গ্রহণ করে কিনা। যেহেতু এখন পর্যন্ত দুদক গ্রহণ করেনি, তাই আমি দুদক বরাবর অভিযোগ করেছি।
দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার করে বাড়ি করা নিয়ে আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার বিরোধ কোন পর্যায়ে যায় সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com